মেহেদী হাসান মিলন:চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে প্রেমিক গ্যাড়াকলে পড়েছে।এ ঘটনায় প্রেমিককে দিন ভর অফিসে আটকে রেখে সালিশ বৈঠকে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত বিদ্যালয়ে এসে ছেলেটিকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের হাতে দেন।জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হুদাপাড়া গ্রামের প্রবাসী আশরাফুলের কলেজপড়ুয়া ছেলে সোহেল রানার সাথে কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেনীর ছাত্রী মিমের সাথে তিন বছর পূর্ব থেকে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে।ছেলেটি বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে এসে মেয়েটির সাথে বিদ্যালয়ে পাশের ফিল্ডে দেখা করে।কিছুদিন পূর্বে সোহেল রানা ও মিমের সাক্ষাতের গোপন ভিডিও করে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।তারা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ:বারেক কে অবহিত করে।গতকাল বুধবার সকালে সোহেল রানা আবারো বিদ্যালয়ের সামনে এলে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে।তিনি দ্রুত বিদ্যালয়ে এসে ছেলেটিকে তার অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। দশ মিনিট পরে মেয়েটিকে ও ডেকে অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখেন প্রধান শিক্ষক।বিষয়টি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক সহ স্থানীয়রা সেখানে আসেন।সোহেল রানা জানান বারেক স্যার তাকে দোকান থেকে ডেকে এনে অফিসে বসিয়ে রেখেছেন। আজকে তারা কোন কথা বার্তা বলেনি। মিম জানান বারেক স্যার তাকে আজ আচমকা ডেকে অফিসে এনে চড় থাপ্পড় মারেন ও বসিয়ে রাখেন। মিম সোহেল রানার সাথে তার প্রেমের কথা স্বীকার ও করেন।পরে দিনভর বিদ্যালয়ে অফিসে বসে স্থানীয় মেম্বররা ও শিক্ষকরা মিলে যাতে একটি সুন্দর সুরহা বা মেয়ে ছেলের বিয়ে ঠিক করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করতে থাকেন। কিন্তু দুজনের বয়স ও ছেলের অভিভাবক সম্মতি না থাকায় ভেস্তে যায় বিষয়টি।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ:বারেক জানান তিনি বারংবার সোহেল রানা কে নিষেধ করেছেন বিদ্যালয়ে আসতে মেয়েদের ডির্সটার্ব না করতে।কিন্তু সোহেল রানা সে বিষয়ে কোন কর্নপাত করেনি।তিনি মিমকে চড় মারার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন সে আমার মেধাবী শিক্ষার্থী। তার ভুলে আমি অভিভাবক হয়ে তাকে একটু শাসন করতেই পারি।তিনি আরো জানান সোহেল রানার মত বখাটে ছেলেদের কারনে বিদ্যালয়ে চরম ডিসর্টাব হচ্ছে।শেষ মেষ কোন সুরহা না করতে পেরে বিদ্যালয় কৃতপক্ষ বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে জানালে তিনি দ্রুত বিদ্যালয়ে এসে সোহেল রানাকে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশে দেন।পরে রাতে সোহেল পরিবারের লোকজন তাকে থানা থেকে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস জানান ছেলেকে মুচলেকায় তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।